Header Ads Widget

চকরিয়ার বদরখালীতে ৬টি দোকান ও পূর্ববড়ভেওলায় ১৪টি বাড়ি পুড়ে ছাই| 6 shops in Chakria Badarkhali and 14 houses burnt to ashes in Purbabarveola

 


কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী বাজারে ৬টি দোকান আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে দুই ঘন্টা চেষ্ঠায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়। সোমবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।


চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর জানান, চকরিয়ার বদরখালী বাজারস্থ দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আগুন নেভানোর চেষ্ঠা করা হয়। পরে দেড় ঘন্টা চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।


তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দোকান গুলো আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে অনেক দোকানদার নি:স্ব হয়ে গেছে। তারা ঈদ উপলক্ষে দোকানে মালামাল তুলেছিল। আগুনে পুড়ে গিয়ে তাদের সহায় সম্বল শেষ হয়ে গেছে।


অপরদিকে চকরিয়া উপজেলার পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাজী রৌশন আলী পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এরইমধ্যে অগ্নিকান্ডে ২৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন। সোমবার বিকাল ২টার দিকে এ দূর্ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আগুনে ১৪টি বাড়ি ছাই গেছে। কোন মালামাল বের করতে পারেনি। সর্বশান্ত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ক্ষত্রিগস্থ পরিবার গুলো।


পূর্ববড়ভেওলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারহানা আক্তার মুন্না জানান, তার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাজী রৌশন আলী পাড়ায় গত রাত ২টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৪টি বাড়ি সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবাই নি:শ^ হয়ে গেছে।

ক্ষগ্রিস্থরা হলেন, মো. রফিক, আবু আহাম্মদ, আবু, কমরু উদ্দিন, আলী হোসেন, কামাল, জিয়াবুল, আজিজ, জয়নাল, মিয়া, নুরুন্নবী, নবী হোসেন, নুরুল আবছার, মনির, মো. হাসান, মোহাম্মদ আলী, সাহাব উদ্দিন,

নাছির উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, শরিফ, আরফ আলী, আবুল হাসেম, নুরুল আমিন, কফিল, আলী আহাম্মদ,

আইয়ুব, আবু তাহের ও লিয়াকত আলী। বর্তমানে অসহায় পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।  পাশাপাশি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


সংগ্রহীত...

Post a Comment

0 Comments