মেয়ে লজ্জা শরম দূরে রেখে বলত- 'রাতে অন্ধকার থাকলে আমার পেছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরে, বাজেভাবে টাচ করে।
মা তার মেয়েকে সান্ত্বনা দিয়ে বুঝাত- তোর জামাই ই হবে হয়তো।
মেয়ে লজ্জায় আর কিছু বলত। শুধু মাকে বলত- 'মা, আমার জামাই হলে তো আমি টের পেতাম না? বুঝতে তো পারতাম। আমার শ্বশুরকে সন্দেহ হয়।
মা আবারও মেয়েটাকে সান্ত্বনা দিত। অভাবের কারণে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই বিয়ে দিতে হয়েছে মেয়েটাকে।
বিয়ে হয়েছে মাত্র কটা দিন হলো
এখন শ্বশুর বাড়িতে না গেলে লোকে কি বলবে? মানুষের কাছে মুখ দেখাবে কি করে?
তাই মা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বড় মেয়ের সাথে করে ছোট বোনটাকেও পাঠায়। আর সেখানেই শ্বশুর কিংবা স্বামীর হাতে ধ* র্ষি ত হয় ছোট্ট অবুঝ বোনটা।
আর এখন আইসিইউতে মৃ* ত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
ধর্ষকের কতটুকু শাস্তি হবে জানি না। বাচ্চা মেয়েটা ঠিকমতো বিচার পাবে কি-না সেটাও জানি না। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি হয়তো শান্ত হয়ে আসবে। আমরাও আর মাথা ঘামাবো না।
আইনের নানান ফাঁকফোকর দিয়ে ধ* র্ষ ক শ্বশুর হয়তো জামিন পেয়ে বেরিয়ে আসবে।
ছোট বোনটা তো মৃত্যুশয্যাতেই কিন্তু বড় বোনটার হয়তো মায়ের কথা চিন্তা করে, সমাজের কথা চিন্তা করে মুখ বুঝে আবারও সংসার করতে যেতে হবে।
গরিব পরিবারের মেয়েটা ! সংসার ছাড়া তার আছে টাই বা কি? তারপর হয়তো একদিন রাতে আমরা আবারও নিউজ শুনব- শ্বশুরের কাছে ধ* র্ষ র্ণের শিকার হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে মাগুরার ছোট্ট শিশু।
0 Comments